
আরো নানান কারনে হতে পারে। যেমন, পানিশূন্যতা, মাংসপেশী বা স্নায়ুতে আঘাত, রক্তে পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়ামের অভাব, কিছু ঔষধের পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া যেমন, হাইপারটেনশন ও কোলেস্টেরল, কয়েকটি বিশেষ ভিটামিনের অভাবে যেমন, ভিটামিন ‘বি’ B1, B5, B6। কিছু বদভ্যাসের কারনে যেমন, ধূমপান, মদপান। ধূমপায়ীদের পায়ে রক্ত চলাচল কম হয় বলে সামান্য হাঁটাহাঁটিতেই তাদের পায়ে টান লাগে। গর্ভাবস্থায় বিভিন্ন স্নায়ুতে চাপ পড়ে থাকে, তাই ওই সময় পায়ের পেশীতে টান লাগা স্বাভাবিক ব্যাপার। আবার হাইপোথাইরয়েডিজম, কিডনি ফেইলিওর, মেন্সট্রুয়েসন, গর্ভসঞ্চার ইত্যাদির কারনেও পেশীতে টান লাগতে পারে।


আর যদি পেশী শক্ত হয়ে আসে তখন ওয়াটার ব্যাগ বা হট ব্যাগের মাধ্যমে কিছুক্ষণ গরম সেঁকা দিন আক্রান্ত পেশীতে। আবার যদি পেশী বেশি নরম ও ফুলে যায় আর ব্যথা থাকে তাহলে তাতে আইসব্যাগ দিয়ে ঠাণ্ডা সেঁক দিন। বেশ আরাম পাবেন। প্রত্যেকের বাসায় মুভ বা ভিক্স জাতীয় ব্যথানাশক বাম বা জেল থাকে, তা দিয়ে আলতো হাতে মালিশ করা যেতে পারে ওই পেশীতে।
আর ‘পেশীর টানমুক্ত’ অবস্থায় ভালো থাকতে পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়ামযুক্ত খাবার খান। শাকসবজি, ফল, খেজুর, দুধ ও মাংসতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও পটাশিয়াম রয়েছে। তাই এই খাবারগুলো বেশি বেশি খান। নেশা জাতীয় বদ অভ্যাস থাকলে তা থেকেও বেরিয়ে আসতে হবে। প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ নিন সুস্থ থাকুন।
No comments:
Post a Comment